সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার বকুলতলা নদীর ওপর পাকা সেতু না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাহাপুর গ্রামের প্রায় সাত হাজার মানুষ। এ নদীতে ৩০ বছর আগে একটি আয়রণ স্লাবের ব্রিজ নির্মাণ করা হলেও বর্তমানে অত্যাধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
এর ওপর দিয়ে গ্রামের দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। দ্রুত নতুন ব্রিজ নির্মাণ না করা হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে, ব্রিজটি পরিদর্শন করে যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হবে।
পিরোজপুরের কাউখালীর সাহাপুর গ্রামবাসী দীর্ঘদিনের দাবি, একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণের। কাউখালীর বকুলতলা নদীর তিন কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ব্রিজ না থাকায় অপর পাশে বেশকিছু স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসা সাহাপুরের এই আয়রণ স্লাবের ব্রিজটি। গত ৩০ বছর আগে ব্রিজটি নির্মাণ করা হলেও বর্তমানে অত্যাধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভাঙা ব্রিজটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পার হতে হচ্ছে কয়েক হাজার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় মানুষদের।
ভুক্তভোগী মাদরাসার শিক্ষার্থী মো. জীবন ও নয়ন হোসেন জানান, নতুন একটি সেতুর জন্য ওই প্রামের মানুষ সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সেতু নির্মাণের জন্য সাংসদ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার আবেদন করলেও আশ্বাস ছাড়া কিছুই মিলছে না বাস্তবে। একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন আন্দোলনও করেছে গ্রামবাসী। গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধার জন্য ওই নদীর ওপর একটি পাকা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়ার দাবি তাদের।
সাহাপুর গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কয়েকজন শিক্ষক জানান, বকুলতলা নদীর ওপর পাকা সেতু না থাকায় এই গ্রামগুলোতে কোনো যানবাহন চলাচল করে না। ফলে সবাইকে হেঁটেই স্কুল-কলেজ মাদরাসায় যেতে হয়। এমনকি গ্রামের কৃষিপণ্য সহজে শহরের বাজারে গিয়ে বিক্রি করতে পারছে না কৃষকরা। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একমাত্র দাবি, দ্রুত যেন একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. খালেদা খাতুন রেখা জানান, ভাঙা ব্রিজটি পরিদর্শন করে যথাযথ উদ্যোগ নেয়ার কথা রয়েছে। কাউখালীর বকুলতলা নদীতে একটি পাকা সেতুই পারে সাহাপুর গ্রামবাসীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক চিত্র পরিবর্তন করতে।
Leave a Reply